কামছে সময়, কামছে A+ || পাবলিক পরীক্ষা সম্পন্নের সময় কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। - সবার জন্য শিক্ষা, লেখাপড়া বিষয়ক বাংলাদেশের প্রথম ব্লগ সাইট।

সাম্প্রতিক

কামছে সময়, কামছে A+ || পাবলিক পরীক্ষা সম্পন্নের সময় কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেটসহ (এইচএসসি) সমমানের সব পাবলিক পরীক্ষা সম্পন্নের সময় কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নেয়া এমন সিদ্ধান্ত আগামী বছর থেকে কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।


আরু জানতে.........


নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পাশ মার্ক ৩৩ নয় ৪০ এ করার কথা ভাবছে সরকার। যেহেতু কয়েকদিন আগেই ঘোষণা দেয়া হইছে এখন থেকে আর জিপিএ ৫ হবে না সেহেতু জিপিএ ৪ এর মধ্যে ৩৩ এ নয় ৪০ এ পেলে পাশ করানো হবে।
পাবলিক পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের বিপরীতে ৪০ এ পাশ মার্ক হবে বলে জানা গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ পদ্ধতি হাতে নিয়েছে।
একই সঙ্গে রেজাল্ট প্রকাশ পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এবার জিপিএ ৫ এর পরিবর্তে (গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ) ৪ এ হিসাব করা হবে।
এ পদ্ধতিতে ‘এ প্লাস’ বলতে কিছু থাকবে না। পরীক্ষার ফলের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সমতা রাখতেই এসব পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

দেশে চলমান পাবলিক পরীক্ষাগুলোর সময় কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আওতায় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেটসহ (এইচএসসি) সমমানের পাবলিক পরীক্ষা কম সময়ের মধ্যে শেষ করার টার্গেট নেয়া হচ্ছে।

জেএসসি পরীক্ষা ১০ দিন, এসএসসি পরীক্ষা ২০ দিন এবং এইচএসসি পরীক্ষা ৩০ দিনে সম্পন্নের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন কতে যথাক্রমে ১৫, ৩০ ও ৪৫ দিন সময় লাগতো।
জানা যায়, গত বছর (২০১৮) জেএসসি পরীক্ষা ১ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২০১৯ সালের জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (তত্ত্বীয়) ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হয়। আগের বছরগুলোতে বেশি সময়ও লেগেছে। এই পরীক্ষার সময় কমিয়ে ২০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা ১ এপ্রিল শুরু হয়ে ১১ মে শেষ হয়। আগামীতে এক মাসের মধ্যেই এ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষায় কোনো সময় গ্যাপ না রেখেই আগে থেকেই নেয়া অব্যাহত রয়েছে। তাই ব্যবহারিক পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনার প্রয়োজন হবে না।

এছাড়া পরীক্ষার সময় বেশি পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা প্রশ্নফাঁসের মতো প্ররোচনায় পড়েন। দ্রুততম সময়ে পরীক্ষা শেষে হলে এ সমস্যাও থাকবে না। অভিভাবকরাও দ্রুত চাপমুক্ত হবেন। এসব কারণে সময় কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সব পাবলিক পরীক্ষার দিন কমানো হয়েছে। চলতি বছর থেকে এটি কার্যকর হবে। ফলে মাসজুড়ে আর কোনো পাবলিক পরীক্ষার আয়োজন থাকছে না।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক পরীক্ষার সময় বিভিন্ন কেন্দ্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বন্ধ থাকে। ১০ থেকে ১৫ দিন সময় কমিয়ে আনায় ওইসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হবে না। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিয়মত ক্লাস করতে পারবে। এছাড়া পরীক্ষার সময় বেশি পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা প্রশ্নফাঁসের মতো প্ররোচনায় পড়েন। দ্রুততম সময়ে পরীক্ষা শেষে হলে এ সমস্যাও থাকবে না। অভিভাবকরাও দ্রুত চাপমুক্ত হবেন। এসব কারণে সময় কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পরীক্ষার মধ্যে গ্যাপ থাকলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হন বলে মনে হয় না। দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে অভিভাবকরাও মানসিক চাপে থাকেন। এছাড়া বেশি গ্যাপ থাকলে পরীক্ষা নিয়ে অনৈতিক কাজের সুযোগ বাড়ে। এসব কারণে দ্রুত পরীক্ষা সম্পন্নের নতুন এ উদ্যোগ নেয়া

    No comments:

    Post a Comment