১ আগস্টের আগেই যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক আলোচনার সম্ভাবনা - সবার জন্য শিক্ষা, লেখাপড়া বিষয়ক বাংলাদেশের প্রথম ব্লগ সাইট।

সাম্প্রতিক

১ আগস্টের আগেই যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক আলোচনার সম্ভাবনা

false
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান শুল্ক সংকট নিরসনে তৃতীয় দফার আলোচনা কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনও অনিশ্চিত। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই আলোচনায় বসার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল শিগগিরই ওয়াশিংটন সফরে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আলোচনার মাধ্যমে কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে। অন্যদিকে, পাল্টা শুল্ক কমাতে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের সম্ভাবনা এখন প্রায় নেই বললেই চলে। সরকারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে নিরুৎসাহ দেখা যাচ্ছে। অর্থ উপদেষ্টা জানান, “এটি এমন একটি বিষয় যেখানে দ্রুত সিদ্ধান্ত দরকার। এখানে দীর্ঘ মেয়াদি দর-কষাকষির সুযোগ নেই। লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি তাই প্রাসঙ্গিক নয়।” তিনি আরও বলেন, "তাঁরা তো দর-কষাকষি দূরের কথা, নির্দিষ্ট অফিসের কাছাকাছিও যেতে পারবেন না।" অর্থ উপদেষ্টা জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এখনও ইতিবাচক। তিনি বলেন, “সম্প্রতি আমরা শেভরন, এক্সিলারেট এনার্জি ও মেটলাইফের মতো মার্কিন কোম্পানির পাওনা পরিশোধ করেছি। এতে ইউএস চেম্বারও সন্তোষ প্রকাশ করেছে।” বর্তমানে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই হার কিছুটা কমতে পারে বলেই মনে করছেন অর্থ উপদেষ্টা। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, “আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি মাত্র ৬৫০ কোটি ডলারের মতো।” জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৮৭৬ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় বেশি। আমদানি হয়েছে ২৫০ কোটি ডলারের পণ্য। এদিকে, এ পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি পোশাক ও নিট পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক করছেন সংশ্লিষ্টরা। হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ জানান, “লবিস্ট নিয়োগের আশা এখন প্রায় নেই। তবে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আশ্বস্ত করেছেন যে ভালো কিছু হবে।” যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানির সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি গম আমদানির বিষয়ে নতুন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটি এবং সরকারি ক্রয়–সংক্রান্ত কমিটি এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির প্রস্তাবে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এই গম আমদানির দায়িত্ব পেয়েছে অ্যাগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েটসের অনুমোদিত। প্রতি টন গমের মূল্য ধরা হয়েছে ৩০২ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার। এ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের গমের মান ভালো এবং এতে আমিষের পরিমাণ কিছুটা বেশি। রাশিয়া বা ইউক্রেন থেকে আমদানির ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা থাকে, তাই আমরা উৎসে বৈচিত্র্য আনতে চাই।” তিনি আরও বলেন, “দাম তুলনামূলক বেশি হলেও সামগ্রিকভাবে আমরা উপকৃত হবো।” আমারবাঙলা /এফএইচ

No comments:

Post a Comment