false
রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে হত্যার ঘটনায় গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন জনি হত্যা মামলায় পল্লবী থানার তৎকালীন এসআই জাহিদুর রহমান ও এএসআই কামরুজ্জামানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আরেক আসামি এএসআই রাশেদুল হাসানের যাবজ্জীবন দণ্ড কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে আরেক আসামি পুলিশের সোর্স রাসেলকে ৭ বছরের সাজা থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। অপর আসামি সুমন সাজাভোগ করে আগেই কারাগার থেকে বেরিয়ে গেছেন। নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন-২০১৩ অনুযায়ী হাইকোর্টে এটাই প্রথম রায়। রায়ে যাবজ্জীবন বহাল থাকা আসামিদের দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ভিকটিম জনির পরিবারকে দিতে বলা হয়েছে। ১০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি এএসআই রাশেদুল হাসানকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গতকাল রবিবার ও সোমবার (১১ আগস্ট) দুইদিনব্যাপী এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এর আগে গত ৭ আগস্ট এ মামলার দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পল্লবীর ১১ নম্বর সেকশনের বি ব্লকের ইরানি ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. বিল্লালের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ছিল। সে অনুষ্ঠানে পুলিশের সোর্স সুমন নারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এ সময় সেখানে থাকা ইশতিয়াক হোসেন জনি ও তার ভাই ইমতিয়াজকে সুমন চলে যেতে বলেন। এ নিয়ে সুমনের সঙ্গে দুই ভাইয়ের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সুমনের ফোনে পুলিশ এসে জনি ও ইমতিয়াজকে ধরে নিয়ে যায় এবং থানায় নিয়ে দুই ভাইকে নির্যাতন করে। এতে জনির অবস্থা খারাপ হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জনির ভাই ইমতিয়াজ হোসেন একই বছরের ৭ আগস্ট মামলা করেন। সে মামলায় তৎকালীন পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমানসহ আটজনকে আসামি করা হয়। এই মামলাটি ২০১৩ সালে হওয়া নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে প্রথম মামলা। ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বিচার শেষে রায় দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ। রায়ে পল্লবী থানার তৎকালীন এসআই জাহিদুর রহমান, এএসআই রাশেদুল হাসান ও এএসআই কামরুজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। তাদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে বাদী বা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। অপর দুই আসামি পুলিশের সোর্স (তথ্যদাতা) সুমন ও রাসেলের সাত বছর কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন বিচারিক আদালত। দণ্ডিত পাঁচ আসামির মধ্যে কামারুজ্জামান (তৎকালীন এএসআই) শুরু থেকে পলাতক। অপর আসামি সুমন সাজাভোগ করে বেরিয়ে গেছেন। এদিকে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে জাহিদুর, রাশেদুল ও রাসেল ২০২০ সালে হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন। ২০২১ সালে হাইকোর্ট সে সব আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। গত ৯ জুলাই এসব আপিল হাইকোর্টে একসঙ্গে শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে গত ৭ আগস্ট হাইকোর্ট রায়ের জন্য ১০ আগস্ট দিন ধার্য করেন। আমারবাঙলা/জিজি

যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া ২ জনের সাজা হাইকোর্টে বহাল
Tags
# Amarbangla Feed
# IFTTT
Share This
.png)
About News Desk
IFTTT
Tags:
Amarbangla Feed,
IFTTT
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
লেখক-এর বিবরণ
আসসালামু আলাইকুম।
আমরা আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি সকল চাকরি, সরকারি নোটিশ, লেখাপড়ার খবর, প্রশ্নপত্র এবং অন্যান্য খবর সবার আগে পেতে আমাদের আমাদের সাথে থাকুন।ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment